মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির মূলকেন্দ্রে এখন অবস্থান করছে ইরাণ ও সৌদিআরব। এই রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার সম্পর্ক ইদানীং যা আছে তাকে মোটেই সুসম্পর্ক বলা যাবে না।
অথচ এই দুই রাষ্ট্রের মধ্যকার ইতিবাচক সম্পর্ক বদলে দিতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র। দীর্ঘকাল ধরে এই দুই রাষ্ট্রের মধ্যে বৈরীতা সৃষ্টি করে সাম্রাজবাদী শক্তিগুলো মধ্যপ্রাচ্যে উপনিবেশ স্থাপন করে তৈলশক্তি লুষ্ঠন করে চলছে। এই ক্ষনে যদি এইদুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপিত হয় তবে মঙ্গল বয়ে আনবে।
সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান বলেছেন, ইরান তাদের প্রতিবেশী দেশ এবং তিনি আশা করেন তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেছেন, ইরানের সঙ্গে
সুসম্পর্কের জন্য তার দেশ আঞ্চলিক দেশগুলোর পাশাপাশি অন্যদের সঙ্গেও কাজ করছে। রিয়াদ এমন সম্পর্ক চায় যা সবার জন্য কল্যাণকর।
সৌদি যুবরাজ বলেন, সৌদি আরব ও ইরানের লক্ষ্য অভিন্ন। সৌদি আরব ইরানের উন্নয়ন চায়। একইসঙ্গে গোটা অঞ্চল ও বিশ্বের উন্নয়ন ও অগ্রগতি প্রত্যাশা করে রিয়াদ।
সৌদি আরবের প্রভাবশালী যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান ইয়েমেনে তার দেশের অব্যাহত হামলা ও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে বলেন, তিনি আশা করেন ইয়েমেনের ন্যাশনাল স্যালভেশন সরকার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেবে এবং আলোচনায় বসবে।
দুই মাস আগে সৌদি আরব ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। তবে ইয়েমেনের ন্যাশনাল স্যালভেশন সরকার এই প্রস্তাবকে অবাস্তব হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সৌদি আরবকে হামলা বন্ধ করতে হবে এবং ছয় বছরের অবরোধ প্রত্যাহার করতে হবে।
0 Comments