নিউজডেস্ক,বিশ্বদর্পণ:সারা ভারত জুড়ে করোনা সংক্রমণের যে ব্যাপকতা চলছে, তার তুলনায় চিকিৎসা পরিকাঠামো নগন্য। বিশেষকরে অক্সিজেনের অপ্রতুলতা সমস্যাকে আরো জটিল করে তুলেছে। এই পরিস্থিতি জনমানসে একটা ভীতির সৃষ্টি করেছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের আরো কার্যকরী পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল যা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদী গ্রহন করেন নি। এই ধারণার প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো মোদীর পদত্যাগের দাবীত উত্তাল।
গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে নতুনকরে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫২ জন, এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪৯৮ জনের। সবচেয়ে রোমহষর্ক পরিসংখ্যান হল এখন সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১লক্ষ ৭০ হাজার ২২৮ জন। করোনায় সর্বমোট মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ৮ হাজার ৩৩০ জন।
দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঠেউ শুরু হয়েছিল বেশ কিছু দিন আগেই। এই পরিস্থিতির মধ্যেই পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন সারা হল। আজ যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাহিরে তখন প্রধানমন্ত্রী নিরব। অথচ তিনি ঐ সময় প্রধানমন্ত্রীর আবরণ উন্মোচিত করে বিজেপির সুপ্রিমো হয়ে চুটিয়ে নির্বাচনী সভা করেছেন। এই সময় তিনি কোন ভাবেই করোনা সংক্রমণ বা চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে কোন কথাই বলেন নি। এখানেই জনগনের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে।
অক্সিজেন, বেড ও ঔষধ নিয়ে এখন চারিদিকে হাহাকার চলছে। পথে, হাসপাতালে, শশ্মানে যেভাবে মানুষের আত্মক্রন্দন শোনা যাচ্ছে, তাতে প্রতিয়মান হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী করোনা সক্রমণকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন না, তিনি যতটা গুরুত্ব দিয়েছেন মেরুকরণের রাজনীতিতে।
স্বভাবতই তাঁর আচরণ জনমানসে ভীতির সঞ্চার করেছে। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর করণীয় করতে তিনি অবহেলা করেছেন। এখন চিকিৎসার জন্য জনগনকে স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাততে হচ্ছে। সব মিলিয়ে জনগনের ধৈর্যহীন হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবীর পথে হাঁটতে শুরু করেছে। যা প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশ্বদরবারে মোটেই শুভকর নয়!
0 Comments